價格:免費
更新日期:2018-09-19
檔案大小:5.9M
目前版本:2.0
版本需求:Android 4.1 以上版本
官方網站:mailto:angrybaba75@gmail.com
Email:http://angrybaba75.blogspot.com/p/privacy-policy-selim-azad-built-wb.html
বছরে মোট সাড়ে ছয় লাখ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা থাকছে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে। আর এই বিমার আওতায় আসছে রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতাল ও তার বড় বড় সরকারি ক্লিনিক। বিশেষ চমক হিসাবে রাজ্যের বেশ কিছু নার্সিংহোমকেও এর আওতায় আনা হবে। যেহেতু গোটা ব্যাপারটাই সংগঠিত হবে অ্যাপসের মাধ্যমে তাই দ্রুত বিমার টাকা পৌঁচ্ছে যাবে সরকারি হাসপাতালের অ্যাকাউন্টে।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের যে সমস্ত চুক্তি ভিত্তিক কর্মীরা আছে তাদেরও এই স্বাস্থ্য বিমার আওতায় আনা হবে। এর ফলে এই স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা সুবিধা পাবেন স্বাস্থ্য দপ্তরের আশা কর্মী, অঙ্গনওয়ারি কর্মী, সিভিক পুলিশ, ভিলেজ পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগ, হোমগার্ড, অর্থদপ্তরের চুক্তিবদ্ধ কর্মী, গ্রিন পুলিশ, সিভিল ডিফেন্স, NVF, ICDS, পৌরসভার অন্তর্গত স্বনির্ভর গোষ্ঠী, অসংগঠিত শ্রমিক সহ আরও অনেক বিভাগের কর্মীরা। স্বাস্থ্যসাথী বিমার অন্তর্গতদের দেওয়া হবে স্মার্ট কার্ড। এই কার্ডের মেয়াদ ছয় মাস থেকে এক বছর। প্রতি বছর দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমে চিকিৎসা মিলবে। অন্যদিকে ক্যান্সার, নিউরো সার্জারি, হৃদরোগজনিত অস্ত্রোপচার, লিভার সংক্রান্ত অসুখ এবং রক্তের সমস্যার চিকিৎসার জন্য এই প্রকল্পে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সাহায্য পাওয়া যাবে। এই প্রকল্পে স্বাস্থ্যসাথী স্মার্ট কার্ড পাওয়া যাবে সংশ্লিষ্ট পৌরসভা এবং গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার সময় রোগীর যাতায়াত খরচ বাবদ ২০০ টাকা পাওয়া যাবে। স্বাস্থ্যসাথীর পরিবষেবা পেতে হলে হালপাতালে ভর্তি হতে হবে। না ভর্তি হলে অবশ্য এই পরিষেবা পাওয়া যাবে না।
প্রায় ১৯০০ রকমের প্যাকেজভুক্ত রোগের চিকিৎসা মিলবে এই প্রকল্পে। তুষারবাবু জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চলতি মাসের ৩০ তারিখ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সূচনা করবেন। এই প্রকল্প জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, বীরভূমে শুরু হচ্ছে। অন্য জেলাতেও শুরু হবে। মোট ১৭০০ কোটি টাকা এই বিমা প্রকল্পে বরাদ্দ করা হয়েছে। ইউনাইটেড ইন্ডিয়া ইনসিওরেন্স কম্পানি লিমিটেড এবং মেডিকেয়ার সংস্থার সঙ্গে বিমার চুক্তি হয়েছে। কসমেটিক সার্জারি, ড্রাগ বা মাদকজনিত অসুস্থতা, বন্ধ্যাত্বজনিত চিকিৎসা, হরমোনজনিত সমস্যা এবং লিঙ্গ পরিবর্তনজনিত চিকিৎসায় এই বিমার পরিষেবা পাওয়া যাবে না।
এই প্রকল্পের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথি বলেন, “রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের এটি সাম্প্রতিককালের বড় প্রকল্প। এই প্রকল্প চালু হলে রাজ্যের গরিব মানুষ বিমার আওতায় চলে আসবে।” স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রকল্প চালু করার জন্য একটি নামি বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে সমীক্ষা করানো হয়েছে। গ্রামের বেশিরভাগ মানুষের স্বাস্থ্য বিমা নেই। আর একাধিক জেলায় সমীক্ষা করে জানা গেছে, গ্রামের মাত্র ২০ শতাংশ মানুষ বেসরকারি বিমা করিয়েছে। এই ২০ শতাংশের মধ্যে আবার সরকারি কর্মীদের সংখ্যাই বেশি।